সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

উশরযোগ্য ফল-ফসলের বিধান

উশর কি?  পবিত্র ‘উশর’ শব্দটি আরবী আশরাতুন (দশ) শব্দ হতে উৎসরিত বা উৎকলিত হয়েছে। উনার আভিধানিক বা শাব্দিক অর্থ হলেন এক দশমাংশ। আর সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার পরিভাষায় কৃষিজাত পণ্য- ফল ও ফসলের পবিত্র যাকাত উনাকে পবিত্র উশর বলে। এক কথায়, উৎপাদিত ফল ফসলের যাকাতই হচ্ছেন পবিত্র উশর। পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কুরআন শরীফ থেকে দলীলঃ পবিত্র উশর সম্পর্কে পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ উনাদের মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- وانفقوا من طيبات ماكسبتم ومـما اخرجنا لكم من الارض. অর্থ : “তোমরা তোমাদের উপার্জিত হালাল সম্পদ হতে এবং যা আমি তোমাদের জন্য যমীন হতে উৎপন্ন করিয়েছি তা হতে দান করো।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ২৬৭) তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-  واتوا حقه يوم حصاده অর্থ : “ফসল কাটার সময় তার হক (পবিত্র উশর) আদায় করো।” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪১) উশর সম্পর্কে পবিত্র হাদিস শরীফে যা বর্ণিত রয়েছে:  এ প্রসঙ্গে অনেক হাদিস শরীফ পাওয়া যায়। তার মধ্যে ২টি পবিত্র হাদীছ শরীফ উল্লেখ
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

ইসরাইলি পন্য বয়কট যেভাবে সফল হবে

ইসরাইলি পন্য বয়কট করতে চাইলে ভোক্তা পর্যায়ে নয় আগে মুসলিম উদ্দোক্তাদের উদ্দোগ নিতে হবে। আর ভোক্তাদের জানতে হবে অমুসলিমদের প্রতারণা ও পন্যের ক্ষতিকর বিষয়গুলো সম্পর্কে।  পৃথিবীর কোথাও যখন কোন দেশ মুসলমানদের উপর আঘাত হানে (ঈমানে অথবা স্বশরীরে) তখন সে দেশের পন্য বয়কটের প্রচারণা চাউর হয়। যেমন ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, ইন্ডিয়া ইত্যাদি দেশগুলো প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটায়। তখন এ দেশগুলোর  পন্য বয়কট করার আহবান সোশ্যাল মিডিয়া খুব প্রচার হয়। যদিও সেই আহবান খুব বেশি ফলপ্রসু হয়না। সম্প্রতি গাজার মুসলমানদের উপর দখলদার ইসরায়েলী হামলার নিন্দা ওঠেছে বিশ্বজুড়ে। মুসলিম দেশগুলোতে ইসরায়েলী পন্য বয়কটের ডাক উঠেছে। কিন্তু এ ডাক কতটা সফল হবে তা নির্ভর করছে ব্যবসায়ীদের উপর, ভোক্তাদের উপর নয়।  মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে যত পণ্য সামগ্রী প্রয়োজন তার সব কিছুই বাজারজাত করেছে ইহুদীরা। যার কারণে তারা সংখ্যায় কম হলেও গোটা বিশ্ব বাজার তাদের দখলে। কিন্তু তাই বলে এমন নয় যে বাজারের সমস্ত পণ্য ইহুদীদের। বাজারে খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, মুসলমান সবার পণ্যই আছে। ইসরাইলি পন্য বয়কট করতে হলে মুসলমানদেরকে ব্যবসা সম্প্রসারণ ক

মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন ও অনুসরণের গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফযীলত প্রসঙ্গে

যিনি খালিক্ব, মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন- قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَٰلِكَ فَلْيَفْرَحُوا  মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিনি শুধুমাত্র যিনি খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন সেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জানিয়ে দিচ্ছেন তিনি যেন দয়া করে সমস্ত সৃষ্টি বান্দা-বান্দী, উম্মত, জীন-ইনসান, সবাইকে বলে দেন তারা সকলে উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফদ্বল মুবারক এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রহমত মুবারক লাভ করতে পেরেছে এজন্য তাদের সকলের দায়িত্ব হলো কর্তব্য হলো ফরয হলো উনার সম্মানার্থে শুকুর গুজারির সাথে ফালইয়াফরাহু শরীফ খুশি মুবারক প্রকাশ করা। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা  আলাইহিস সালাম!  هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ   আর এই খুশি মুবারক প্রকাশ করাটা হচ্ছে সকলের জিন্দেগীর সমস্ত ইবাদত-বন্দেগী থেকেও সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বোত্তম ইবাদত। সুবহানা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা  আলাইহিস

কারবালার শিক্ষা

কারবালায় পবিত্র আশুরা শরীফের ঘটনায় যে জন্য নসিহত ও ইবরত বা শিক্ষা রয়েছে তা নিম্নরূপ: ১) জীবন চলে গেলেও বাতিলের সাথে কোন রকম আপোস করা যাবেনা( সাইয়্যিদুনা ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম কারবালার প্রান্তরে সেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন)  ২) সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম উনাকে যারা শহীদ করেছে সেই পাপীষ্ঠ, সৃষ্টির নিকৃষ্ট ইয়াজিদ লা'নাতুল্লাহি আলাইহি সহ যারা শাহাদতের সাথে জড়িত সবাই কাট্টা কাফির চীর জাহান্নামী। ইয়াজিদ লা'নাতুল্লাহি আলাইহি কে যারা কাফির বলবেনা তারাও কাট্টা কাফির চীর জাহান্নামী। এটাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বিদা।  ৩) নবী রছুল আলাইহিমুছ ছালাম উনারা হলেন মাছুম, উনাদের কোন গুনাহখাতা নাই, উনারা কোন ভুল করেননি, হযরত সাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা হলেন মাহফুজ বা সংরক্ষিত, উনারা হলেন সত্যের মাপকাঠি, উনারা হলেন তারকা স্বরুপ, উনাদের যে কাউকে যে কেহ যে কোন বিষয়ে অনুসরন করলে সে নাযাত পেয়ে যাবে। ৪) নুরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম, মহা সম্মানিত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুছ ছালাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বিদা ও হুসনে যন(সু ধারনা) পোষন
  আমরা সবাই ওয়াজিব কুরবানীর কথাই জানি, কিন্তু ফরজ কুরবানীর বিষয়ে জানি না। আসুন আজকে জেনে নেই ফরজ কুরবানী কোনটি? আমাদের প্রিয় নবী এবং রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম ওছিয়ত মুবারক অনুযায়ী "উনার পক্ষ থেকে" একটি কুরবানী করাই হচ্ছে ফরয কুরবানী। কোথায় আছে এই ফরজ কুরবানীর কথা? পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে। حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي الْحَسْنَاءِ، عَنِ الْحَكَمِ، عَنْ حَنَشٍ، قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ مَا هَذَا فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ . অর্থ : “হযরত হানাশ রহমতুল্লাহি আলাইহি থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু আনহু উনাকে দুটি দুম্বা কুরবানী করতে দেখলাম এবং জিজ্ঞাসা করলাম, এটা কি? (দুটি কেন?) পবিত্র জবাবে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ওছিয়ত মুবারক করে গিয়েছেন যে, আমি যেন উনার পবিত্রতম পক্ষ হতে কুরবানী করি। সুতরাং আম

বিশ্ব পর্দা দিবস কবে?

৮ই যিলক্বদ শরীফ ‘বিশ্ব পর্দা দিবস’। এ দিনেই প্রথম পর্দার আয়াত শরীফ নাযিল হয়। পবিত্র সুরা আহযাব শরীফ উনার ৫৩ তম আয়াত শরীফ নায়িল হওয়ার মাধ্যমে পর্দা ফরয হয়।  প্রথম পর্দার বিধান জারী করা হয় ৫ম হিজরীতে। তখন হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ইবনে হযরত উম্মু সুলাইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু ১৫ বৎসরের যুবক, উনার সামনে প্রথম পর্দার আয়াত নাযিল হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ...الخ অর্থ: হে ঈমানদারগণ! তোমরা হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্রতম হুজরা শরীফে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করোনা....। হযরত আনাস রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "আমাদের নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যয়নব বিনতে জাহাশ আলাইহাস সালাম উনাদের নিসবতে আযীম শরীফের (নিকাহ মুবারক ) পর ওলীমা স্বরুপ কিছু রুটি, গোশত এবং হারিছার ব্যবস্থা করা হয়। আমাকে, লোকদেরকে খাওয়ার জন্যে ডেকে আনতে পাঠানো হয়। তারপর একদল লোক এসে খেয়

নেট দুনিয়ায় নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আবির্ভাব

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দুনিয়ায় আবির্ভাব ঘটেছে একটি অসাধারণ নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের। নতুন এই সামাজিক প্লাটফর্মের নাম সিরাতুল মুস্তাকিম। আধুনিক সব ফিচার, অর্থ উপার্জন ও ব্যবসা করার অত্যাধুনিক ফিচার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে এই নতুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি।  ওয়েবসাইট:  sm40.com উৎপত্তি: বাংলাদেশ কেন “সিরাতুল মুস্তাক্বীম” তথা SM40.COM প্ল্যাটফর্মে জয়েন করবেন? - প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সকল সুযোগ সুবিধা আছে - অশালীন ও হারাম বিষয়মুক্ত ডিজিটাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠা করতে - প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষতি থেকে বাঁচতে এবং সমাজকে বাঁচাতে - সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যবহৃত সময়কে পজিটিভলি কাজে লাগাতে - শিশু, কিশোর, শিক্ষার্থী, বয়স্ক এবং সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের জন্য উপযোগী প্রচলিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যসমূহ- ১. ব্যবহারকারীর সময়কে মূল্যায়ন করা হয় ২. অসামাজিক দূষণমুক্ত ৩. ব্যবহারকারীর তথ্যের উচ্চ নিরাপদ ৪. নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাক্তিগত ছবি অনুমোদিত নয় ৫. প্রয়োজনীয় সবধরনের জ্ঞান চর্চা, অভিজ্ঞতা, মতামত, আর্টিকেল শেয়ার ব্যবস্থা ৬. ব্যাক্তি আইডি দিয়ে পেইজ, গ্রুপ এবং

খেলাধুলা করা হারাম নাকি জায়েজ? ইসলামে কোন খেলায় কি হুকুম? জেনে নিন কিছু প্রশ্ন ও উত্তর।

★প্রশ্ন-(১) খেলাধুলা সম্পর্কে শরীয়তের ফায়ছালা কি? অনেকে বলে, ‘কিছু কিছু খেলা জায়িয।’ তা কোন কোন খেলা? উত্তর-(১) এর জবাবে বলতে হয় যে, হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব, “মুস্তাদরিকে হাকিম”-এর মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে যে, রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “সব প্রকার খেলা নিষিদ্ধ, তিনটি বিষয় ব্যতীত- (১) তীর ধনুক চালনা করা, (২) অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা, (৩) নিজ স্ত্রীর সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশী করা।” আবু দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, নাসাঈ শরীফ, ইবনে মাজাহ্ শরীফ ইত্যাদি হাদীছ শরীফের কিতাবেও হযরত ওকবা ইবনে আমির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে অনুরূপ হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে। তবে শব্দের কিছু তারতম্য রয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে রেওয়ায়েত আছে, নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “মু’মিনের শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাঁতার কাটা, আর নারীর শ্রেষ্ঠ খেলা অর্থাৎ কাজ হচ্ছে সূতা কাটা।” “সহীহ্ মুসলিম” ও “মুসনদে আহমদ শরীফে” হযরত সালমান ইবনে আকওয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, “নবী করিম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

খুশির দিনে রোজা রাখার হুকুম

বাতিল ফিরকার ধর্ম ব্যবসায়ীদের একটা বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার হচ্ছে- জন্ম উপলক্ষে নবীজী রাখলেন রোজা আপনারা করেন ঈদ। তিনি পালন করলেন 'বার' আপনারা করেন 'তারিখ'।  এখানে তাদের দুইটা আপত্তি। আজকে প্রথম আপত্তি নিয়ে কিছু বলবো। যে হাদীছ শরীফ দিয়ে সে রোজা পালন করার কথা বলছে তা হলো-  “হযরত আবূ ক্বতাদা আনছারী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হুযূর পাক  ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সোমবার রোযা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হলেন, তখন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, এদিন আমি পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহন করেছি, আর এ দিনেই আমার উপর পবিত্র ওহী বা পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে।” (মুসলিম শরীফ : হাদীছ শরীফ নং ২৮০৭) প্রথম কথা হচ্ছে এ হাদীছ শরীফ পেশ করার মাধ্যম দিয়ে ধরা যাক তারা ‘মীলাদুন্নবী পালন’ করাকে মেনে নিলো। যাক আগেতো মীলাদুন্নবী পালন অস্বীকার করতো এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এখন বাকি থাকলো, রোজা না রেখে ঈদ করা নিয়ে। সম্ভবত এই বিভ্রান্তি প্রচারকরা রোজা এবং ঈদকে সাংঘর্ষিক মনে করে। আসুন আমরা কিছু হাদীছ শরীফ দেখবো যেখানে রোজার মাধ্যম দিয়ে ঈদ পালন করার ব্যাপারে বলা হয়েছে। পবিত্র হাদ

দরুদ শরীফ ছানা ছিফত কতক্ষণ করতে হবে?

  ২৪ ঘন্টা নবীজীর প্রতি দরূদ শরীফ পাঠ করলেই সকল নেক মকছুদ পূর্ণ হবে, এবং জীবনের সকল গুনাহ খতা ক্ষমা হবে। অর্থাৎ সদা সর্বদা নবীজীর ধ্যানে খেয়ালে স্মরনে থাকতে হবে।  সহীহ হাদীছ শরীফে বর্ণিত আছে, قَالَ أُبَىٌّ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُكْثِرُ الصَّلاَةَ عَلَيْكَ فَكَمْ أَجْعَلُ لَكَ مِنْ صَلاَتِي فَقَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ الرُّبُعَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ النِّصْفَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ قُلْتُ فَالثُّلُثَيْنِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا شِئْتَ فَإِنْ زِدْتَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَجْعَلُ لَكَ صَلاَتِي كُلَّهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِذًا تُكْفَى هَمَّكَ وَيُغْفَرُ لَكَ ذَنْبُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ হযরত উবাই ইবনু কা’ব রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- আমি বললাম, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমি তো খুব অধিক হারে আপনার প্রতি দরুদ শরীফ পাঠ করি। আপনার প্রতি দরুদ পাঠে

সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পরিচিতি মুবারক

এক নজরে সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পরিচিতি মুবারক বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সায়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার সবচেয়ে বড় মহাসম্মানিত পরিচয় মুবারক হচ্ছেন, তিনি হলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা বানাত (মেয়ে) আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিতা হযরত বানাত (মেয়ে) আলাইহিমাস সালাম উনাদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন ‘ছানিয়াহ’ তথা দ্বিতীয়া। তাই উনাকে বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সায়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম বলা হয়। সুবহানাল্লাহ! #90daysmahfil www.sm40.com 🌹মহাসম্মানিত নাম মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত রুক্বইয়্যাহ আলাইহাস সালাম। 🌹যেভাবে সম্বোধন করা আদব মুবারক: সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম। 🌹বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ: আনুষ্ঠানিকভাবে রিসালাত মুবারক মুবারক প্রকাশের প্রায় ৭ বছর পূর্বে পবিত্র ৩রা রবী‘উছ ছানী শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ। 🌹নিসবাত

৩৯৪ হিজরীতে মাস ব্যাপী ঈদে মীলাদুন নবী পালনের ইতিহাস

মিশরে ৩৯৪ হিজরীতে মাস ব্যাপী ব্যপক জাকজমকের সাথে ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা হয়। এক শ্রেনীর লোক প্রচার করে পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ(ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নাকি চালু হয়েছে ৬শত হিজরীতে। অথচ কথাটি মোটেও সত্য না, খলীফা হারুনুর রশীদের (১৪৮-১৯৩ হিজরী) মাতা আল খায়জুরান (ইন্তেকাল ৭৮৬ ঈসায়ী সন) পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করার জন্য ব্যবস্থা করেন।  ইতিহাসটি বর্ণনা করোন হিজরী ৩য় শতকের পবিত্র মক্কা শরীফের মুসলিম ইতিহাসবিদ আল আজরাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২১৯ হিজরী)। পবিত্র মক্কা শরীফ উনার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তিনি এই ঘটনাটি উল্লেখ করেন- فَمِنْهَا الْبَيْتُ الَّذِي وُلِدَ فِيهِ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي دَارِ أَبِي يُوسُفَ، وَلَمْ يَزَلْ هَذَا الْبَيْتُ فِي الدَّارِ حَتَّى قَدِمَتِ الْخَيْزُرَانُ أُمُّ الْخَلِيفَتَيْنِ مُوسَى، وَهَارُونَ، فَجَعَلَتْهُ مَسْجِدًا يُصَلَّى فِيهِ، “হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যেখানে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন সেখানে খল